কলমকথা ডেস্কঃ

যশোর জেলার অন্তর্গত মণিরামপুর থানার ১৪ নম্বর দুর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের ২ নম্বর বাটবিলা ইউপি সদস্যকে সালিশী/মীমাংসা বৈঠক এর এক পর্যায়ে বেধড়ক মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ।
দুর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের ২ নম্বর বাটবিলা ইউপি সদস্য মো: নরিম উদ্দিন মালী (৪৮) পিতা: মৃত হারেজ আলী মালী জানান, আমি গত ১১/০৪/২০২২ ইং রোজ সোমবার আনুমানিক বিকাল ৫ ঘটিকর সময় ওই একই ওয়ার্ডের বাটবিলা গ্রামের জনৈক হোসেন মোড়লের বাড়ির সামনে বসিয়া স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে জমিজমা সংক্রান্ত একটি সালিশ/ মীমাংসাতে হাজির হয়ে উভয়পক্ষের ভিতর একটা সমঝোতার বিষয়ে কথা বলতে থাকি। ঠিক ওই সময়ে কিছু প্রভাবশালী লোক আমার সিদ্ধান্তকে বয়কট করে আমাকে নানাভাবে অপমান অপদস্ত করা সহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। যাতে করে আমি সালিশটি অমীমাংসিত রেখেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করি ।
কিন্তু ১২/০৪/২০২২ ইং রাত আনুমানিক রাত ১.০৫ মিনিটে আমি আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব গাজী মাজহারুল আনোয়ার এর বাড়ি থেকে কিছু দাপ্তরিক কাজ সেরে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার সময় ১. মো: সেলিম মোড়ল(৩৫) পিতা-মৃত বারিক মোড়ল ২. তৈয়েবুর মোড়ল(৩০) পিতা সামাদ মোড়ল ৩.এনামুল মোড়ল (২৬) ৪.নাজমুল মোড়ল(৩৫) উভয়পিতা মোংলা মোড়ল ৫. হাবিবুর রহমান মোড়ল (৪০) পিতা সামাদ মোড়ল সর্বসাং বাটবিলা,থানা মণিরামপুর জেলা যশোর সহ আরো ৪/৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তি আমাকে বাটবিলা মোড়লপাড়া ঈদগাহ্ সংলগ্ন আলমগীর হোসেন এর বাড়ির সামনে পৌঁছালে পরিকল্পিতভাবে উক্ত রাস্তায় ওৎপেতে থেকে আমার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে আমাকে পুনরায় গালিগালাজ করতে থাকে আমি বাধা দিলে উপরে উল্লেখিত লোক গুলো আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বাসের লোহার রড সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাকে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে বেধড়ক মারপিট শুরু করে। আমার আত্মচিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে এলে আমাকে ওখানেই ফেলে সবাই পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন আমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতলে ভর্তি করলে আমি উক্ত হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করি।
তিনি আরো বলেন আমি এই বিষয়ে মণিরামপুর থানা অফিসার ইনচার্জ,উপজেলা নির্বাহী অফিসার,পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছি।বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আমি এর সঠিক বিচার দাবী করছি।

কলমকথা/DJ Hasan